1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলোচনায় ব্লাসফেমি আইন

২ মার্চ ২০১১

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিকে হত্যা করার পর আবারো আলোচনায় ব্লাসফেমি আইন৷ ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী বক্তব্য বা আচরণের বিচারের জন্য যে আইন, সেই আইনের নামই ব্লাসফেমি৷

https://p.dw.com/p/10Rpy
আছিয়া বিবির মুক্তির দাবিতে মিছিল (ফাইল ফটো)ছবি: picture alliance/dpa

ব্লাসফেমি আইনে ইসলাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ পাকিস্তানে অনেক বছর ধরেই বলবৎ এই আইনটি৷ কিন্তু ২০১০ সালের শেষ দিকে সে দেশের সরকার ‘ব্লাসফেমি' আইন পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে৷ উগ্রপন্থিরা যাতে এ আইনের অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্যই সরকারের এই উদ্যোগ৷ কিন্তু এখনো এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি৷ বরঞ্চ এই আইন সংশোধন বা বাতিলের বিষয়ে যারা কথা বলছেন তাদের উপর একের পর এক আক্রমণ হচ্ছে৷

এ বছরের শুরুর দিকে নিজের নিরাপত্তা রক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারান পাকিস্তানের লাহোরে গর্ভনর সালমান তাসির৷ ব্লাসফেমি আইনের সংশোধন তারা অবশ্যই করবেন, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তাসির বলেছিলেন এই কথা৷ হত্যাকারী নিজের স্বীকারোক্তিতে বলেছে, সালমান তাসির ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার কারণেই সে তাঁকে হত্যা করেছে৷

এরপরই আজ বুধবার হত্যা করা হলো এই আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে সোচ্চার আরেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিকে৷ শাহবাজ ভাট্টি আইন সংশোধনের জন্য জনমত সৃষ্টি করছিলেন৷ এ পর্যায়ে তাঁকেও দেয়া হয় মৃত্যুর পরোয়ানা৷ সাংবাদিকদের তিনি সেই চিরকূটও দেখিয়েছিলেন৷ অবশেষে সেই চিরকূটে লেখা হুমকিই সত্য হলো বুধবার৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক