1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলফার সঙ্গে কেন্দ্রের শান্তি আলোচনা ইতিবাচক

২৬ অক্টোবর ২০১১

আসামের আলফা জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের শান্তি বৈঠকে তিন দশকের বৈরি তৎপরতার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আলফার বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়৷ পরবর্তী বৈঠক নভেম্বরে৷

https://p.dw.com/p/12zXd
অরবিন্দ রাজখোয়াছবি: UNI

আসামে তিন দশকের বৈরি তৎপরতার স্থায়ী সমাধানে নিষিদ্ধ-ঘোষিত আলফা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নতুন দিল্লিতে দ্বিতীয় দফার শান্তি বৈঠক শেষ হয় সদর্থক বার্তা দিয়ে৷ দেড় ঘন্টার ঐ বৈঠকে আলফার নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল৷ সরকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব আর.কে সিং৷

বৈঠকে আলফার তরফে পেশ করা হয় এক দাবি সনদ৷ যার অন্যতম বিষয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আসামের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর রাজ্যের অধিকতর নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব সম্পদ বৃদ্ধি,পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় রাজ্যের অংশগ্রহণ, জনসংখ্যার অনুপাত খতিয়ে দেখা ইত্যাদি৷ বৈঠক শেষে রাজখোয়া বলেন, দাবি সনদের প্রতি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হয়৷ আশা করি, কেন্দ্র এক সদর্থক মনোভাব নিয়ে আমাদের দাবির সন্তোষজনক সমাধানে উদ্যোগী হবে৷

এই শান্তি আলোচনার প্রধান বাধা আলফার পলাতক স্বঘোষিত কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ বড়ুয়া৷ তিনি এই শান্তি প্রক্রিয়ার বিরোধী৷ সেজন্য আশাবাদী নন রাজ্যের অনেকে৷ কারণ হিসেবে আসামের দৈনিক জনমভূমি পত্রিকার সম্পাদক অমল গোস্বামী ডয়চে ভেলেকে জানালেন, আগামী কয়েক বছরে আলফার সঙ্গে হয়ত সরকারের শান্তি চুক্তি হয়ে যাবে, কিন্তু পলাতক আলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া ছাড়া আসামে শান্তি আসবেনা৷ কেন্দ্রের সঙ্গে দরকষাকষির ক্ষমতা অরবিন্দ রাজখোয়ার নেই৷ তাই পরেশ বড়ুয়া ছাড়া শান্তি আলোচনা সফল হবেনা৷

উল্লেখ্য, পরেশ বড়ুয়া বর্তমানে ঘাঁটি গেড়েছে মিয়ানমার-চীন সীমান্তে৷ বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেবার চেষ্টা করায় সে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়৷

কেন্দ্র জানিয়েছে নভেম্বরে পরবর্তী দফার বৈঠকে ঐসব পয়েন্ট নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে৷ সেই বৈঠকে থাকবেন অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকগণ৷ অস্ত্র সমর্পণ নিয়ে আলফা কোন স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি৷ লুকানো অস্ত্রশস্ত্রের হদিশ দিতেও নারাজ৷

১৯৭৯ সাল থেকে চা ও তেল সমৃদ্ধ আসামের অন্যতম বৃহৎ জঙ্গি সংগঠন আলফা স্বাধীন স্বভূমির জন্য লড়াই চালিয়ে আসছে৷ তাতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১০ হাজার মানুষ৷ হালে সরকারের সঙ্গে অস্ত্র সম্বরণ চুক্তির পর এটি হলো দ্বিতীয় শান্তি বৈঠক৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন