আরো একটি জাহাজ ডুবি, উদ্ধারকাজ শুরু
৫ জুলাই ২০১৩‘এমভি হোপ' নামের বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি সাড়ে ছয় হাজার টন সিরাসিক তৈরির কাঁচামাল ‘বল ক্লে' নিয়ে মালয়েশিয়ার থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছিল৷ বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজটি থাইল্যান্ডের উপকূলে আন্দামান সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আংশিক কাত হয়ে ডুবে যায়৷
ঢাকায় মালিকপক্ষের স্বার্থ রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের ডয়চে ভেলেকে জানান, জাহাজটিতে মোট ১৭ জন নাবিকের সকলেই বাংলাদেশি৷ তাঁদের মধ্যে পাঁচজন লাইফবোট নিয়ে সাগরে ঝাপিয়ে পড়েন৷ পরে বক্সমুন নামের আরেকটি জাহাজ তাঁদের উদ্ধার করে৷ এছাড়া, আরো একজনকে উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা৷ এখন বাকি ১১ জনকে উদ্ধারের তত্পরতা চলছে৷
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জানান, থাইল্যান্ডের কোস্ট রেসকিউ কো-অর্ডিনেশেন সেন্টার জাহাজ ডুবির পর পরই সক্রিয় হয়েছে৷ তাদের তিনটি জাহাজ বক্সমুন, বক্সফোর ও অ্যাকেডিয়া এবং থাই নেভির দুটি জাহাজ, দুটি হেলিকপ্টার ও একটি উড়োজাহাজ এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে৷ তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম আইন অনুযায়ী এই উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে থাইল্যান্ড৷ বাংলাদেশ শুধু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ট্রেডব্রিজ শিপিং লাইনের এই জাহজটি ১০০ মিটার দীর্ঘ এবং এটি ২৩ বছরের একটি পুরনো৷
এদিকে, থাইল্যান্ডের উপকূলে আন্দামান সাগরে ‘পায়লিন' নামে আরো একটি বাংলাদেশি জাহাজ ডুবির খবর পাওয়া গেছে৷ ঐ জাহাজের ১১ জন নাবিকের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি৷ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জানান, ঐ জাহাজটি একটি ফিশিং বোট৷ তাঁর কথায়, জাহাজটি থাইল্যন্ডের পতাকাবাহী হলেও বাংলাদেশের এএনজে ট্রেডার্স জাহাজটি কিনে নিয়েছিল৷ কিন্তু বাংলাদেশে এখনও নিবন্ধিত না হওয়ায় থাইল্যান্ডের পতাকা বহন করছে এটি৷ এই জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারেও যৌথ অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন কাদের৷