1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট

কর্নেলিয়া বরমান / এসি১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গুপ্তচর বিভাগের নজর সর্বত্র, আর সর্বত্রই আমাদের পায়ের ছাপ৷ না জেনেই নিজেদের সম্পর্কে অনেক তথ্য আমরা স্বেচ্ছায় দিয়ে থাকি৷ কিন্তু এই পরিমাণ তথ্য ঘেঁটে দেখবে কে?

https://p.dw.com/p/19y8G
ছবি: picture-alliance/dpa

গোয়েন্দারা যেভাবে অনলাইন তথ্য সংগ্রহ করেন

বার্লিন ফ্রি ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগের অধ্যাপক রাউল রোখাস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘গণিতের দৃষ্টিকোণ থেকে এখানে চ্যালেঞ্জটা হল, এই পরিমাণ তথ্য৷ আমি একটা বিশেষ তথ্য খুঁজছি – সেটা তাড়াতাড়ি ছেঁকে বার করাটাই চ্যালেঞ্জ৷ আমাদের এই ডেটা ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ ই-মেল আছে৷ আমরা একটি বিশেষ শব্দসমষ্টি খুঁজছি, যা সন্দেহভাজন৷ প্রক্রিয়াটা দ্রুত করার জন্য একটা অ্যালগোরিদম-এর দরকার৷ তখন আমি সেই অ্যালগোরিদম নিয়ে বিশেষ তথ্যটির খোঁজ করব৷ অ্যালগোরিদমে তা ধরা পড়লে অন্য কেউ কিংবা অন্য কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম সেই তথ্য বিশ্লেষণ করবে৷ যেমন আমরা এখানে সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পেয়েছি৷''

কিন্তু অ্যালগোরিদম বোমাটা খুঁজে পায় কী করে? রোখাসের ব্যাখ্যা হলো, ‘‘ডাটা রেকর্ডে বহু অক্ষর থাকে৷ তার মধ্যে হয়তো শব্দসমষ্টিটা লুকিয়ে আছে, যেমন এই কথাটা, ‘বম্বেনস্টিমুং', যাতে ‘বম্বে' বা ‘বোমা' কথাটা আছে৷ অ্যালগোরিদম এখন এভাবে কাজ করবে: সূচনায় প্রথম অক্ষরটা তার জায়গায় কিনা, সেটা পরীক্ষা করা হবে৷ তারপর দেখা যাবে, এই অক্ষরটার সঙ্গে এই অক্ষরটা মিলে যাচ্ছে৷ তারপর আমরা পরম্পরা অনুযায়ী টেস্ট করতে পারবো৷ কিন্তু শেষ অক্ষরটাকে চতুর্থ স্থানে বসালে তাড়াতাড়ি হয়৷ আর এই চতুর্থ স্থানে আমরা একটা মিল পাচ্ছি৷ এরপর অন্য অক্ষরগুলো নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব৷ কাজেই আমরা ‘বম্বে' অথবা বোমা কথাটাকে খুঁজে পেয়েছি৷''

A Bahraini man browses the internet on his laptop in a coffee shop in the capital Manama on January 29, 2013. Twitter's unmatched platform for public opinion is emboldening Gulf Arabs to exchange views on delicate issues in the deeply conservative region, despite strict censorship that controls old media. AFP PHOTO/MOHAMMED AL-SHAIKH (Photo credit should read MOHAMMED AL-SHAIKH/AFP/Getty Images)
ছবি: Mohammed Al-Shaikh/AFP/Getty Images

পরের ধাপে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি সংক্রান্ত সব ‘ডেটা রেকর্ড' একসঙ্গে করা হবে, যা থেকে তার সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে৷ তার চরিত্র বা আচরণগত বৈশিষ্ট্যগুলোকে সংখ্যা হিসেবে দেখানো হবে৷ সে কি খুব ঘোরে? তার কি কোনো ক্রেডিট কার্ড আছে? নিয়মিত রোজগার আছে? লাইফ ইনসিওরেন্স আছে? অ্যালগোরিদম দিয়ে এ ভাবে ব্যক্তিবর্গকে এক পর্যায় সংখ্যায় পরিণত করা যায়৷ তারপর সেটাকে সন্ত্রাসবাদীদের প্রোফাইলের সঙ্গে মেলানো হয়৷ যতো বেশি মিলবে, বিপদ ততোই বেশি৷ এ ভাবেই সাউয়ারলান্ড গোষ্ঠীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল, যারা জার্মানিতে বোমা হামলার ষড়যন্ত্র করছিল৷

অ্যালগোরিদম অবশ্য বস্টনের বোমারুদের চিনতে পারেনি৷ ভুল তো সম্ভবই৷ অন্যদিকে অ্যালগোরিদম নিরপরাধীদের সন্ত্রাসবাদী বলেও ঘোষণা করেছে৷ যার ফলে সংশ্লিষ্টদের বিপুল হয়রানি হয়েছে৷ রোখাস বলেন, ‘‘ইন্টারনেট হল একটা সুবিশাল মেমরি, যেখানে সব কিছু ঢোকানো যায়৷ কিন্তু নেটের সেই মেমরি থেকে কোনো কিছু মুছে দেওয়া প্রায় অসম্ভব৷''

কাজেই যারা তা থেকে বাঁচতে চান, তাদের নেটে কোনোরকম চিহ্ন না রেখে অন্যভাবে খবর পাঠানোটাই বোধহয় ভালো!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য