1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমাদের এখন একটা রাষ্ট্র আছে’

৩ ডিসেম্বর ২০১২

‘আমাদের এখন একটা রাষ্ট্র আছে’ উল্লসিত জনগণের উদ্দেশ্যে বললেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷ জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের জন্য ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’-এর স্বীকৃতি নিয়ে রবিবারই তিনি ফিরেছেন৷

https://p.dw.com/p/16ug6
ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় সমবেত জনতাকে আব্বাস বলেন, ‘‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভোমত্বের পক্ষে সারা বিশ্ব ‘হ্যাঁ' বলেছে৷ আর ‘না' বলেছে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে৷''
ছবি: ABBAS MOMANI/AFP/Getty Images

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় সমবেত জনতাকে আব্বাস বলেন, ‘‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভোমত্বের পক্ষে সারা বিশ্ব ‘হ্যাঁ' বলেছে৷ আর ‘না' বলেছে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে৷''

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনি আবেদনের পক্ষে ভোট পড়ে ১৩৯টি৷ আর বিপক্ষে মাত্র নয়টি৷ জার্মানি সহ ৪১টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে৷

এর আগে গত বছর ‘পূর্ণ রাষ্ট্র'-এর স্বীকৃতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন৷ কিন্তু সেখানে তারা সফল হয়নি৷ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের চরম বিরোধিতার কারণেই সেটা হয়নি৷

Palästina Ramallah UN Hoffnung
জাতিসংঘের ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ফিলিস্তিনছবি: AP

এদিকে এবার জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়ায় ইসরায়েল ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ তারা পশ্চিম তীরে নতুন করে তিন হাজার বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তবে ঠিক কোথায় বসতিগুলো নির্মাণ করা হবে সরকার সেটা না জানালেও ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, কিছু কিছু বসতি চরম বিরোধপূর্ণ এলাকা ‘ই-ওয়ান'-এ নির্মাণ করা হতে পারে৷ উল্লেখ্য, ই-ওয়ান হচ্ছে সেই এলাকা যেখানে বসতি নির্মিত হলে পশ্চিম তীর দুভাগ হয়ে যেতে পারে৷ এর ফলে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বাধীনতার বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে৷

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ইতিমধ্যে ইসরায়েলের নতুন এই সিদ্ধান্তে চরম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এভাবে বসতি স্থাপন অবৈধ এবং এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার উপর একটা বড় আঘাত বলে মন্তব্য করেন বান কি-মুন৷

এদিকে, ফ্রান্স ও ব্রিটেন তাদের দেশে থাকা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে বসতি নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং বলেছে এটা অবৈধ৷ জার্মানি ইসরায়েলকে তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে৷ রাশিয়াও ইসরায়েলের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

ইউরোপের এক ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক ইসরায়েলের হারেৎস পত্রিকাকে বলেছেন, বসতি নির্মাণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার শুধু নিন্দা জানানো নয়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাস্তবিক অর্থে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে৷

তবে শুধু বসতি নির্মাণ নয়, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে কর ও রাজস্ব হস্তান্তর বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল৷ রবিবার দেশটির অর্থমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন৷ এর ফলে ১২ কোটি ডলার থেকে বঞ্চিত হবে ফিলিস্তিন৷

যুক্তরাষ্ট্রও ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য