ট্রাইব্যুনালের রায়
২১ জানুয়ারি ২০১৩মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক জামায়াতের সাবেক রোকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে আজ রায় ঘোষণা করা হবে৷ রবিবার ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন৷
রায় ঘোষণার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিষ্টার নাসির উদ্দিন মাহমুদ রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্কের পর মামলাটির বিচার কাজ শেষে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার বিষয়টি অপক্ষেমান রেখেছিলেন৷ সোমবার আবুল কালাম আযাদের মামলার রায় ঘোষণার জন্য কার্য তালিকায় রাখা হয়েছে৷ এই বিবেচনায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক দিন৷
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, আমারা গভীর প্রত্যাশা নিয়ে বসেছিলাম৷ আমাদের প্রত্যয়দীপ্ত বিশ্বাস মাওলানা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত রায়ই ঘোষণা করা হবে৷
এই মামলার প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মাওলানা আবুল কালাম আযাদের সর্বোচ্চ শাস্তি তারা প্রত্যাশা করছেন৷ তিনি বলেন, আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনিত আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে রঞ্জিত নাথ ওরফে বাবুনাথকে হত্যা, আবু ইউসুফ সিদ্দিকী পাখিকে নির্যাতন, জমিদার সুধাংশু মোহন রায়কে গুলি ও তাঁর ছেলে মনিময় রায়কে নির্যাতন, মাধবচন্দ্র বিশ্বাসকে গুলি করে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তারা প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন৷ রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী তাদের জেরাও করেছেন৷ গত ৪ঠা নভেম্বর বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে আটটি সুনির্দিষ্ট ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়৷ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে ১০টি ঘটনায় ২২টি অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ৪৪৮ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করা হয়৷ ৭ই অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল আবুল কালাম আযাদের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর আদেশ দিয়ে তার পক্ষে আইনি লড়াই করতে সরকারের খরচে মো. আব্দুস শুকুর খানকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন৷
উল্লেখ্য, গত ২৬ শে ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রায় অপেক্ষাধীন রেখেছিলেন৷ আর আবুল কালাম আযাদের মামলা দিয়েই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর যাত্রা শুরু হয়েছে৷