1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিন লাদেন

৯ মার্চ ২০১২

আবারও ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে হইচই শুরু৷ একদিকে লাদেনের মৃতদেহ পোড়ানোর তথ্য ফাঁস৷ অন্যদিকে লাদেনের ঘরে তার বিবিদের কোন্দলের কাহিনী তুলে ধরলেন পাকিস্তানের সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা৷

https://p.dw.com/p/14HE8
ছবি: AP

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার শওকত কাদির৷ বর্তমানে তিনি নিরাপত্তা পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন৷ লাদেনের ছোট স্ত্রীকে আইএসআই কর্মকর্তারা যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ তিনি সম্প্রতি দেখার অনুমতি পান৷ আর জানতে পারেন লাদেনের ঘরের অনেক অজানা তথ্য৷

বার্তা সংস্থা এপিকে ব্রিগেডিয়ার কাদির জানান, অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে লাদেনের ছিল তিন বিবি৷ বড় স্ত্রী খাইরিয়াহ সাবের, যাকে লাদেন বিয়ে করে আশির দশকের শেষের দিকে৷ মেজ স্ত্রী সিহাম সাবের এবং ছোট স্ত্রী আমাল আহমেদ আবদেল ফাতাহ আল সাদা৷ ১৯৯৯ সালে ইয়েমেনি কন্যা আমালকে যখন লাদেন বিয়ে করে, তখন তার বয়স ছিল ১৯৷ লাদেনের শেষ বছরগুলোতে এই আমাল তাকে সবচেয়ে বেশি সঙ্গ দিয়েছে, সমর্থন জুগিয়েছে৷ এই নিয়ে আবার ছোট বউ আর বড় বউয়ের মধ্যে ছিলো রেষারেষি৷ বিশেষ করে ২০১১ সালে বড় বউ খাইরিয়াহ যখন অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে চলে আসে, তখন তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে৷ আমালের প্রতি লাদেনের বাড়তি যত্ন যেন খাইরিয়াহর কাছে কাঁটার মতো বিঁধতো৷ অন্যদিকে, আমালের সন্দেহ ছিলো লাদেনকে ধরিয়ে দিতেই খাইরিয়াহ অ্যাবোটাবাদে চলে এসেছে৷ মেজ স্ত্রী সিহামের ছেলে খালিদ একদিন খাইরিয়াহকে জিজ্ঞাসা করে কেন সে এতোদিন পর এখানে এসেছে৷ জবাবে খাইরিয়াহ বলে, ‘‘আমার স্বামীর জন্য আমার এখনও একটা কাজ করা বাকি৷'' ফলে বাড়িতে খাইরিয়াহর ওপর লাদেন পরিবারের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়৷

Versteck von Osama bin Laden in Pakistan
এই বাড়িতেই বিবি বাচ্চাদের নিয়ে লুকিয়ে ছিল লাদেনছবি: picture alliance/landov

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাদেনকে মারতে তাদের খাইরিয়াহকে প্রয়োজন হয়নি৷ লাদেনের বড় স্ত্রী খাইরিয়াহ ২০০১ সালে আফগানিস্তান ছেড়ে ইরানে পালিয়ে যায়৷ কিন্তু সেখানে তাকে সহ আল-কায়েদার একাধিক সদস্যকে আটক করে ইরানি পুলিশ৷ প্রায় দশ বছর আটক ছিল তারা৷ তবে পরে, ২০১০ সালে অপহৃত কূটনীতিকের মুক্তিপণ হিসেবে তাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় ইরান কর্তৃপক্ষ৷ এরপর পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে চলে আসে খাইরিয়াহ৷ অন্যদিকে ছোট বউ আমাল সবসময়ই ছিল লাদেনের সঙ্গে৷ ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার পর, তারা পালিয়ে যায় পাকিস্তানে৷ কয়েক মাস কাটায় কোহাতের সালমান তালাব এলাকাতে৷ পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে আমাল জানায়, এরপর লাদেন ও সে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের কয়েকটি জায়গায় পালিয়ে বেড়ায়৷ ২০০৪ সালে তারা চলে যায় সোয়াত উপত্যকার শাংলাতে৷ আর তার কিছু দিন পরই সরে যায় ইসলামাবাদের অদূরে হরিপুরে৷ শেষ পর্যন্ত ২০০৫ সালের গ্রীষ্মে তারা চলে আসে অ্যাবোটাবাদের সেই বাড়িটিতে৷ তিন তলা সেই বাড়িতে থাকতো মোট ২৮ জন৷ যাদের মধ্যে ছিল লাদেন ছাড়াও তার তিন স্ত্রী ও আট ছেলেমেয়ে৷ গত বছরের ২রা মে সেখানে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে লাদেন সহ পাঁচ জন নিহত হয়৷ গ্রেফতার হয় আমাল সহ বাকিরাও৷

এদিকে বিন লাদেনের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এমন তথ্য ফাঁস করেছে উইকিলিক্স৷ যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলো যে, লাদেনকে ‘ইসলামি' পদ্ধতিতে সমুদ্রে সমাহিত করা হয়েছে৷ ‘ছায়া সিআইএ' বলে পরিচিত মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্রাটফর'-এর চুরি যাওয়া ই-মেল প্রকাশ করেছে উইকিলিক্স৷ তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য ডেইলি মেল' এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, লাদেনের লাশ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয়নি৷ অবশ্য এ ব্যাপারে মার্কিন সরকার এখন পর্যন্ত নিশ্চুপ৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য