1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারো নব্বইয়ে সাজঘরে ফিরলেন টেন্ডুলকার

২৫ নভেম্বর ২০১১

শততম শতক নিয়ে কোন মানসিক চাপ নেই, সেকথা আগেই জানিয়েছেন টেন্ডুলকার৷ শুক্রবারও তিনি মাঠে খেলছিলেন বেশ শান্তভাবে, দেখেশুনে৷ কিন্তু হঠাৎ কি মনে করে ক্যাচ তুলে দিলেন সেকেন্ড স্লিপে ড্যারেন সামির হাতে৷

https://p.dw.com/p/13H37
শততম সেঞ্চুরি এখনও অধরাছবি: AP

 ড্যারেন সামি, মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক আগেভাগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, কিছু ভারতীয়'র হৃদয় ভেঙে দেবেন তিনি৷ আর সেটা তিনি করবেন, টেন্ডুলকারকে শততম শতকের আগেই বিদায় করে৷

স্যামি তাঁর কথা রেখেছেন বটে, তবে তাতে কিছু ভারতীয় নয়, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘মিলিয়ন ইন্ডিয়ানস'এর হৃদয় ভেঙেছে৷ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হাজার পনের দর্শক শুক্রবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন টেন্ডুলকারের শতক উদযাপনের জন্য৷ গণনাও চলছিল৷ কিন্তু ঠিক, ৯৪ রানে কপাল পুড়ল ক্রিকেট রাজপুত্রের৷

শতক থেকে ৬ রান দূরে থাকতে টেন্ডুলকার আউট হওয়ায় মাঠে থাকা দর্শকরা মুহূর্তেই নীরব হয়ে যান৷ টেলিভিশনে চোখ রাখা লাখো ভক্তও থমকে যান ক্ষণিকের জন্য৷ একটি বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন টেন্ডুলকার৷ রবি রামপালের করা অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করেন তিনি৷ কিন্তু বল তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে ড্যারেন সামির হাতে৷ এমন আউট নিয়ে বিতর্কেরও কোন সুযোগ নেই৷

যাহোক, ১৮৪ টেস্টে এই নিয়ে দশবার নব্বইয়ের ঘরে বিদায় নিলেন টেন্ডুলকার৷ নিরানব্বইতম শতকটি তিনি সম্পন্ন করেন গত মার্চে, নাগপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে৷ গত আগস্টে একবার শততম শতকের সুযোগ হারান টেন্ডুলকার৷ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ৯১ রানে থেমে যান তিনি৷

বলাবাহুল্য, শচীন টেন্ডুলকার মানেই কিন্তু ক্রিকেটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি৷ একদিনের ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি তাঁর দখলে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ২০০ রান করেন তিনি৷ এছাড়া একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানও করেছেন তিনি৷ ৪৪২ ইনিংসে টেন্ডুলকারের সংগ্রহ ১৮১১১ রান৷ তাঁর এই রেকর্ডের কাছেপিঠে এখনও পৌঁছাননি অন্য কোন ক্রিকেটার৷ একদিনের ক্রিকেটে ৬২ বার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন তিনি৷ টেস্টেও সর্বোচ্চ শতক তাঁর দখলে৷ এবার অপেক্ষা শুধু শততম শতকের রেকর্ডের৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক