1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানের বুশ বাজারে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম

২৫ নভেম্বর ২০১০

সামরিক পোশাক-আশাক এবং পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে এসে গেলে নিরাপত্তা কাজে নেমে সমূহ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয় নিরাপত্তা কর্মীদের৷

https://p.dw.com/p/QHgQ
Kabul, Afghanistan, market
আফগানিস্তানের একটি বাজারছবি: AP

আর এমন দশা যখন খোদ যুদ্ধপীড়িত আফগানিস্তানে তখন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ায় স্বাভাবিক৷ অথচ আফগানিস্তানের বাজারে যে কেউ এসে কিনতে পারছে তাদের পছন্দের সামরিক পোশাক থেকে শুরু করে পিস্তল বহন করার কভার পর্যন্ত অনেক কিছুই৷ আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের নামে স্থানীয় একটি বাজার রয়েছে৷ অতি পরিচিত সেই বুশ বাজারে পাওয়া যায় মার্কিন সৈন্যদের পোশাক, বুট, বাইনোকুলার্স, বিভিন্ন ধরণের ছুরি এবং অন্ধকারে দেখার জন্য ব্যবহৃত চশমাও৷

আফগানিস্তানে জঙ্গিদের হামলার ধরণ এবং কৌশলের দিকে একটু নজর দিলেই দেখা যায়, মাঝে মাঝেই জঙ্গিরা নারীদের বোরকা কিংবা পুলিশের পোশাক পরে নিরাপত্তা কর্মীদের একেবারে কাছে গিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিচ্ছে৷ আবার কখনো তারা সেনা বাহিনীর পোশাক পরে হামলা চালাচ্ছে সেনা ঘাঁটি কিংবা বিমানবন্দরেও৷ ফলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, খোলাবাজারে সামরিক পোশাক এবং অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার সুযোগ জঙ্গিদের কাজকে সহজতর করে দিচ্ছে৷

Afghan, woman, bazaar in Kabul
বোরকার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে কোন জঙ্গিওছবি: AP

তবে বিক্রেতারা বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহারের কোন কিছু যদি নষ্ট হয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায়, তখন যেন তারা সেগুলো সহজে কিনতে পারেন সে জন্যই এগুলোর ব্যবসা থাকা দরকার৷ এমনকি তাদের অধিকাংশেরই রয়েছে এসব সরঞ্জামাদি বিক্রি করার বৈধ কাগজপত্র৷ রয়েছে ব্যবসায়ী সমিতির কাছ থেকে নেওয়া ছাড়পত্রও৷

আবার এমন সরঞ্জাম কেনার দোকান দেখা গেছে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এর সরকারি বাসভবনের মাত্র কয়েকশ' মিটার দূরেই৷ তবুও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেমারি বাশারি বললেন, ‘‘সামরিক সরঞ্জাম এবং পুলিশ ইউনিফর্মস কেনা এবং বেচা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং সরকার এ ধরণের ব্যবসা বন্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক