1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আজ বাঙালির নববর্ষ

১৪ এপ্রিল ২০১০

সেতারের সুর আর তবলার তাল নতুন বছরের আগমনী বার্তা জানায় ঢাকার রমনা বটমূলে ৷ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান৷

https://p.dw.com/p/Mvie
ছবি: AP

বাঙালির আত্মশক্তির নববর্ষ

নতুন বছরের প্রথম সূর্যের সোনা রোদ ছড়িয়ে প’ড়ে সবখানে ছড়িয়ে যায় সুর৷ এক অনাবিল ভাল লাগায় ভরে ওঠে বটমূলের প্রাঙ্গন৷ বাঙালির নতুন বছর বাংলা নববর্ষ ১৪১৭ সালের যাত্রা শুরু হল৷

স্নিগ্ধ সকালে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বটমূলে মানুষের ঢল নামে সূর্য ওঠার আগে থেকেই ৷ সব বয়সের মানুষ হাতে হাত ধরে আসেন৷ আসে শিশুরা৷ বটমূলের এই বর্ষবরণ হয়ে ওঠে হাজারো বাঙালির মিলন মেলা৷ তারা বলেন, চিরায়ত ঐতিহ্যের এই বর্ষবরণে আত্মশক্তি পায় বাঙালি জাতি৷ নিজের শক্তিকে নতুন করে আবিষ্কার করে৷ বুঝতে পারে বাঙালি এক পরাভব না মানা জাতি৷

Pohela Boishakh
গত বছর পহেলা বৈশাখে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের আয়োজনছবি: DW/Debarati Guha

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা

এবারের বর্ষবরণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ার মত৷ সবাইকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে থেকে পায়ে হেঁটে বটমূলে ঢুকতে হয়৷ আর এই নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া৷ কিন্তু ব়্যাব মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার এবং ডিএমপি কমিশনার শহীদুল ইসলাম নিরপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন৷

জাতীয় রূপে বর্ষবরণ

ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল জানান, বর্ষবরণে এলে মনে হয় আমরা বাঙালীিছিলাম, আছি , থাকব৷ ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুধুমাত্র ১৯৭১'এর মুক্তিযুদ্ধের সময় একবছর বাদ যায়৷ ছায়ানটের সারোয়ার আলী জানান, রমনা বটমূলের বর্ষবরণ এখন জাতীয় রূপ পেয়েছে৷ রমনা বটমূলে পান্তা ইলিশের আয়োজেনেও বেজায় ভীড়৷ বর্ষবরণের আরেক বড় আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা ৷ চারুকলা থেকে বের হওয়া এই শোভাযাত্রায় হাজারো মানুষ অশুভের বিনাশ কামনা করেন৷

বাংলা নববর্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে৷ টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলগুলো প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা৷ আর এই শুভ দিনে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ এফ এম তরঙ্গে অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করেছে৷


প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম