1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংবাদ সম্মেলন স্থগিত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৩ অক্টোবর ২০১৩

খালেদা জিয়ার প্রস্তাব সরকার গ্রহণ না করলেও আলোচনা করার ব্যাপারে দলীয় অনেক নেতারই আপত্তি নেই৷ তাই বুধবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলেছিলেন৷

https://p.dw.com/p/1A4N2
ছবি: Reuters

প্রশ্ন উঠেছিল, আলোচনা যদি হয় তাহলে তা কোন পর্যায়ে হবে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রশাসন বিষয়ক উদেষ্টা এইচ টি ইমাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রীর সঙ্গে প্রয়োজনে টেলিফোনে কথা বলতে পারেন৷ তবে সরাসরি আলোচনার টেবিলে বসার যদি প্রশ্ন আসে, তাহলে সেটা সাধারণ সম্পাদক বা অন্য কোনো পর্যায়ে হতে পারে৷ কিন্তু, এই মুহূর্তে সেই সংবাদ সম্মেলনই স্থগিত হয়ে গেছে।

তাহলে আলোচনা কি আদৌ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, আলোচনায় কোনো বাধা নেই৷ আলোচনার দরজা সব সময়ই খোলা আছে৷ তবে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে, না সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে – তা দলীয় নেতারা আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে ঠিক করবেন৷

কথা ছিল, বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক খালেদা জিয়ার প্রস্তাব এবং পরবর্তী কী করণীয়, সে সম্পর্কে আওয়ামী লীগের অবস্থান তুলে ধরবেন৷ কিন্তু এখন সেটা আর হচ্ছে না।

এদিকে ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক ওয়াকার্স পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেনন বলেন, খালেদা জিয়ার প্রস্তাব সংবিধান সম্মত নয়৷ এছাড়া, তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করার তেমন সুযোগ আছে বলেও তিনি মনে করেন না৷ তবে তাঁর মতে, খালেদা জিয়া প্রস্তাব দেয়ায় একটি আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ আর এই সুযোগে আলোচনাও হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷

একই ধরণের কথা বলেন জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন আক্তার৷ তাঁর কথায়, একটা আলোচনা বা সংলাপ হওয়া এখন প্রয়োজন৷ এতে অনেক বিষয় পরিষ্কার হবে এবং কোনো দাবির যুক্তি থাকলেও তাও জানা যাবে৷

গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব করেন৷ এর তিনদিন পর সোমবার, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ জন উপদেষ্টার মধ্য থেকে ১০ জনকে নিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রস্তাব দেন খালেদা জিয়া৷ এখন এই সব প্রস্তাব নিয়েই চলছে নানা আলোচনা৷

বুধবার সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্ন উঠে থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু মঙ্গলবারও দিনাজপুরের এক সমাবেশে খালেদা জিয়ার প্রস্তাবকে পশ্চাদমুখী অভিহিত করে বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী৷

ওদিকে বিএনপি আলোচনার কথা বললেও তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরোমাত্রায়৷ নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তারা যে কোনো মূল্যে ২৫শে অক্টোবরের সমাবেশ সফল করতে চায়৷ শুধু তাই নয়, সরকারকে চাপে ফেলতে নানা ধরণের কৌশলও নির্ধারণ করছে তারা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য