1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইসাফ সৈন্য ফ্রিৎস উরবাখ

১ আগস্ট ২০১১

জার্মানিতে একটি সেনাশিবিরে প্রহরার কাজে নিযুক্ত থাকার সময় টেলিভিশনে নাইন-ইলেভেনের ছবি দেখেছিলেন ফ্রিৎস উরবাখ৷ পরে নিজের জীবন বিপন্ন করে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন৷

https://p.dw.com/p/127IH
Nur für Projekt 9/11: Porträt Fritz Urbach
ফ্রিৎস উরবাখছবি: DW

ফ্রিৎস উরবাখের বয়স ৫২, বিবাহিত, তিনটি সন্তানের পিতা৷ রাইন নদের ধারে ছোট্ট কেল শহরের বাসিন্দা উরবাখ ১৯৯৭ সাল যাবৎ জার্মান সেনাবাহিনীতে আছেন৷ আজ তিনি সেনাবাহিনীর একজন কর্নেল৷ ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উরবাখ ছিলেন কোবলেঞ্জের সেনা ছাউনিতে, প্রহরার কাজে৷ টেলিভিশনে দেখেন নিউ ইয়র্কের সেই সব অবিশ্বাস্য ঘটনা৷ প্রথমে তো বিশ্বাসই করতে চাননি৷ কিন্তু নাইন-ইলেভেনের ফলশ্রুতি উপলব্ধি করতে তাঁর বেশি সময় লাগেনি৷ কেননা নিউ ইয়র্কের আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী মিলিয়ে যাওয়ার অনেক আগেই ন্যাটো মিত্রদের কাছে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ এসে গেছে৷ তাও আবার ন্যাটোর ইতিহাসে এই প্রথমবার৷

‘‘তাহলে আমরা সত্যিই এখন এই যুদ্ধের অংশ''

#15 Interview von Daniel Scheschkewitz mit Oberst Fritz Urbach 10. Panzerdivision. Graf-Stauffenberg-Kaserne, am 17.02.2011 in Sigmaringen. Foto DW/Per Henriksen # DW1_2330
ছবি: DW

কয়েকমাস পরেই জার্মান সংসদ আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়৷ সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরিকল্পনাতেও উরবাখ সংশ্লিষ্ট ছিলেন৷ ২০০১ সালেই উরবাখ তুরস্কে ন্যাটোর একটি মোহড়ায় অংশগ্রহণ করেন৷ এখানেও সবাই আফগানিস্তান অভিযান নিয়েই কথা বলেছে৷ মার্কিন বি-ফিফটিটু বোমারু বিমানগুলোকে তোরা বোরার দিকে উড়ে যেতে দেখেছে৷ উরবাখ ভেবেছেন: ‘‘তাহলে আমরা সত্যিই এখন এই যুদ্ধের অংশ৷''

২০০৩ সালে উরবাখকে প্রথম আফগানিস্তানে যেতে হয়৷ তারপর আরো দশ-এগারোবার৷ উত্তর আফগানিস্তানের ফৈজাবাদে পিআরটি বা পুনর্নির্মাণ গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে তাঁর নিজের সৈন্যদের তিনজনকে একটি অভিযানে প্রাণ হারাতে দেখেছেন৷ অভিযানে যাবার আগে তাদের শেষ নির্দেশ দিয়েছেন উরবাখ৷ পরে তাঁকে বলতে হয়েছে: ‘‘নিজের পরিবারের কেউ মারা গেলে, তা সত্যিই প্রাণে লাগে৷'' অপরদিকে এ'ধরনের ঘটনা ঘটার বিপদ তো কমেনি, বরং বেড়েছে৷ সে বিপদ যেন হাত দিয়ে ধরাছোঁয়া যায়৷

উচ্চ লক্ষ্য

#18 Interview von Daniel Scheschkewitz mit Oberst Fritz Urbach 10. Panzerdivision. Graf-Stauffenberg-Kaserne, am 17.02.2011 in Sigmaringen. Foto DW/Per Henriksen # DW1_2387.jpg
ছবি: DW

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে কোরান শরিফ পোড়ানোর ঘোষণা আসার পর ফৈজাবাদে জার্মান সেনাশিবিরের সামনে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয়৷ জনতা পাথর ছোঁড়ে, আফগান পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে জনতাকে সরানোর চেষ্টা করে৷ উরবাখ স্বয়ং বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন, কথাবার্তা বলেন৷ কিন্তু আজ উরবাখের বিশ্বাস, আফগানিস্তানে গণতন্ত্র আনয়ন, নারী-পুরুষের সমানাধিকার, মানবাধিকার ইত্যাদি উচ্চ লক্ষ্যের কথা বলে লাভ নেই৷ আফগানরা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার ভার নিতে পারলেই কর্নেল উরবাখ এবং তাঁর সঙ্গীসাথীরা আফগানিস্তান পরিত্যাগ করতে পারবেন৷

প্রতিবেদন: ডানিয়েল শেশকেভিচ/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ