1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ত্রসজ্জিত যুদ্ধ ড্রোন কিনবে জার্মানি

১ অক্টোবর ২০১২

যুদ্ধক্ষেত্রে মনুষ্যবিহীন ড্রোন বিমানের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ জার্মানি এখন পর্যন্ত নিরস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করেছে৷ কিন্তু ২০১৪ সাল নাগাদ যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী অস্ত্রসজ্জিত ড্রোনও থাকবে জার্মানির কাছে৷

https://p.dw.com/p/16HpZ
ছবি: picture-alliance/dpa

তারা মনুষ্যবিহীন এবং দূরনিয়ন্ত্রিত৷ এখন পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন উপজাতি এলাকায়৷ সন্ত্রাসীদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি এবং হত্যা হচ্ছে তাদের কাজ৷

বলছি ড্রোন বিমানের কথা৷ আল-কায়েদা কিংবা তালেবান জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হামলা চালাতে বিশেষ পারদর্শী এসব মনুষ্যবিহীন যুদ্ধ বিমান৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন বিমানগুলো অনেক আল-কায়েদা এবং তালেবান নেতাকে হত্যায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে৷

তবে ড্রোন হামলার বিষয়টি বিতর্কের উর্ধ্বে নয়৷ পাকিস্তানে এধরনের হামলায় কয়েকশত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ নিহতের মধ্যে সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি যেমন রয়েছে, তেমনি আছে সাধারণ মানুষও৷ লন্ডনভিত্তিক ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম'এর তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ২,৬৫২ থেকে ৩,৩২৪ ব্যক্তি৷ হামলায় নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪৭৪ জন ছিলেন বেসামরিক সাধারণ নাগরিক৷ ২০০৪ সালের জুন মাস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একথা জানিয়েছে সংগঠনটি৷

US Drohne BQM-74E USA Drohnenkrieg OVERLAY FÄHIG
২০১৪ সাল নাগাদ ১৬টি অস্ত্রসজ্জিত ড্রোন বিমান কেনার জন্য ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়ছবি: REUTERS/Stuart Phillips/U.S. Navy/Handout

স্ট্যানফোর্ড এবং নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পাকিস্তানের উপজাতীয় এলাকার অনেক মানুষ সবসময় ড্রোন হামলার আতঙ্কের মধ্যে থাকে৷ এসব অঞ্চলের অনেক শিশু স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে৷ সারাক্ষণ ড্রোন হামলার আশঙ্কার কারণে এই সিদ্ধান্ত তাদের৷

অবশ্য সাধারণ মানুষের এই আতঙ্কের কারণে ড্রোনের ব্যবহার থেমে যায়নি৷ বরং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সামরিক বাহিনী এই মনুষ্যবিহীন যানটি ব্যবহার করছে৷

জার্মান সেনাবাহিনী বুন্ডেসভেয়ার, ড্রোন বিমান ব্যবহার করে৷ তবে যতটুকু জানা গেছে, তাতে এসব ড্রোন বিমান অস্ত্র বহন করে না৷ বুন্ডেসভেয়ারের কাছে যেসব ড্রোন রয়েছে, সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘হেরোন ১’৷ রাইনমেটাল নামক একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে এসব বিমান ব্যবহার করছে বুন্ডেসভেয়ার এবং সেগুলো প্রস্তুত হয়েছে ইসরায়েলে৷

রাইনমেটালের সঙ্গে বুন্ডেসভেয়ারের এই ইজারা চুক্তি শেষ হবে ২০১৪ সালে৷ এরপর ড্রোন বিমানের ক্ষেত্রে জার্মানির করণীয় নিয়ে বিতর্ক চলছে জার্মান কর্মকর্তাদের মধ্যে৷ তবে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী টমাস ডি মেজিয়ের বারংবার জানিয়েছেন, সশস্ত্র ড্রোন বিমান কেনার পক্ষে তিনি৷

জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ডয়চে ভেলেকে অস্ত্রসজ্জিত ড্রোন বিমান কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷ ২০১৪ সাল নাগাদ ১৬টি অস্ত্রসজ্জিত ড্রোন বিমান কেনার জন্য ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়৷ এসব ড্রোন ‘আন্তর্জাতিক সংঘাতপূর্ণ এলাকায় এবং সঙ্কট প্রতিরোধে' ব্যবহার করা হতে পারে, বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়৷ সশস্ত্র ড্রোন কিনতে জার্মানির বাজেট হচ্ছে ১৬৮ মিলিয়ন ইউরো৷

ডি মেজিয়েরের এই পরিকল্পনায় সমর্থন দিচ্ছে জার্মান বিমান বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা৷ জার্মানির এসোসিয়েশন অব দ্য ক্রু অব জেট-পাওয়ারড ফাইটার এয়ারক্রাফট'এর প্রধান টমাস ভাসমান এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘‘সেনা মোতায়েনের কারণে বাইরে অবস্থানরতরা ড্রোন বিমান ব্যবহারের মাধ্যমে আরো নিরাপদ থাকবে পারবে৷ কেননা, সেক্ষেত্রে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে হাজির না হয়েও সেনারা শত্রু নিধনে সক্ষম হবে৷''

টমাস ডি মেজিয়ের অবশ্য জানিয়েছেন, যুদ্ধ ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বুন্ডেসভেয়ার জার্মান সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবে৷ এক্ষেত্রে অন্যান্য সামরিক অস্ত্র ব্যবহার থেকে ড্রোনের ব্যবহারে ভিন্নতা থাকবে না৷

প্রতিবেদন: ক্রিস্টিনা রুটা / এআই

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য