1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে অলিম্পিক মশাল

৮ নভেম্বর ২০১৩

২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের মশাল বহনকারী রকেটটি সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছে৷ কাজাখস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোম থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তিন নভোচারীকে নিয়ে রকেটটি যাত্রা করে৷

https://p.dw.com/p/1ADfb
আইএসএস এ ডক করছে মশালবাহী সোয়ুজছবি: Reuters

বিশ্বের প্রথম উপগ্রহ, মহাকাশে প্রথম মানব পাঠানো, প্রথম উন্মুক্ত মহাকাশে বিচরণ, প্রথম নারী নভোচারী – এসব ইতিহাসের সাথে আর একটি ঐতিহাসিক ঘটনা যুক্ত হতে যাচ্ছে রাশিয়ার নামের সঙ্গে৷ ইতিহাসে প্রথমবার উন্মুক্ত মহাকাশে মশাল ঘুরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা আইএসএস-এ পৌঁছেছে সোয়ুজ৷ ঐ মশাল দিয়ে ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে স্টেডিয়ামের মূল মশাল জ্বালানো হবে৷

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া আটটায় কাজাখস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোম থেকে সোয়ুজ এফজি রকেট এবং সোয়ুজ টিএমএ ক্যাপসুলের সফল উৎক্ষেপণ হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা৷ রকেটে শীতকালীন অলিম্পিকের নীল রঙের ‘লোগো' আঁকা আছে৷ মার্কিন নভোচারী রিক ম্যাস্ট্রাচিয়ো, রুশ নভোচারী মিখাইল তুরিন এবং জাপানের নভোচারী কোইচি ওয়াকাতা আছেন ঐ রকেটে৷ ৬ ঘণ্টা পর তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র আইএসএস-এ পৌঁছান বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷

Baikonur Astronauten Olympisches Feuer Weltraum Start 06.11.2013
এই তিন নভোচারীই মশাল নিয়ে গেছেনছবি: Reuters

তবে নিরাপত্তার খাতিরে নভোযানে নেয়ার সময় মশালটি জ্বালানো হয়নি৷ কেননা এতে যে অক্সিজেন সৃষ্টি হতো, তার ফলে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত৷ এর আগেও ১৯৯৬ সালে মার্কিন মহাকাশ শাটল অ্যাটলান্টিস অ্যাটলান্টা সামার অলিম্পিকের মশাল বহন করেছিল, কিন্তু সেটি উন্মুক্ত মহাকাশে নেয়া হয়নি৷

উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টা আগে বুধবার রুশ নভোচারী মিখাইল তুরিন সাংবাদিকদের বলেন, শান্তির এই প্রতীক বহন করার দায়িত্ব পেয়ে তাঁরা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছেন৷ মশালটি মহাশূন্যে থাকবে ৫ দিন৷ রুশ নভোচারী ওলেগ কোতভ ও সের্গেই রিয়াজানস্কি, যাঁরা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করছেন, তাঁরা মশালটি ৯ই নভেম্বর মহাশূন্যে নিয়ে যাবেন৷ ১১ই নভেম্বর মশালটি নিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন আগে থেকে আইএসএস-এ থাকা তিন নভোচারী৷

রাশিয়া শুধু এই অভিযান দিয়ে বিশ্বকে অবাক করেনি, ৭ই অক্টোবর যে মশাল দৌড় শুরু হয়েছে, তাতেও অবাক বিশ্ব৷ ১৪ হাজার মশাল বাহক ৬৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন কখনো হেঁটে, কখনো ট্রেনে, বিমানে বা গাড়িতে, এমনকি তিন চাকার ঘোড়ার গাড়ি বা স্লেজ গাড়িতেও৷ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৩০টি শহর প্রদক্ষিণ করবেন মশাল বাহকরা৷ দেশের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ এই দৌড় সরাসরি দেখতে পারবেন৷

আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সোচির স্টেডিয়ামে ঐ মশাল দিয়ে ২০১৪ সালের শীত অলিম্পিক স্টেডিয়ামের মূল মশাল জ্বালানো হবে৷ আর ঐ মাসের ২৩ তারিখে শুরু হবে শীতকালীন অলিম্পিক৷

এপিবি/ডিজি(এপি,এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য