1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অরা’ মাইগ্রেনে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ: গবেষণা

৭ ডিসেম্বর ২০০৯

মাইগ্রেনের সঙ্গে যদি চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা থাকে তাহলে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Krdq
ফাইল ফটোছবি: bilderbox

আপনার যদি মাইগ্রেনের সঙ্গে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা থাকে তাহলে এ ধরণের মাইগ্রেনকে বলা হয়ে থাকে ‘অরা' মাইগ্রেন৷ ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘অরা' মাইগ্রেনে হৃদরোগ থেকে স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে৷

নারী, ধূমপায়ী এবং ৪৫ বছরের কম বয়সিদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি আরও বেশি৷ ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যেসব নারী ‘ইস্ট্রোজেন' আছে এমন জন্মনিরোধক পিল খাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে ‘অরা মাইগ্রেন' এর দুর্ভোগ আরও বেশি এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেশি৷

প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ২০ ভাগেরই মাইগ্রেন সমস্যা রয়েছে, যাদের তিন চতুর্থাংশই নারী৷ অনেক ক্ষেত্রেই তারা বমিভাব ও আলো এবং শব্দের বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত সংবেদনশীলতার কথা বলে থাকেন৷

এমন রোগীদের প্রায় এক তৃতীয়াংশই মাথা ব্যথার সময় বা মাথা ব্যথার আগে তথাকথিত ‘অরা'য় ভোগেন৷ অর্থাৎ তারা এক ধরণের অদ্ভুত আলো দেখতে পাওয়া, অস্বস্তিকর গন্ধ পাওয়া কিংবা চিন্তার অসংলগ্নতায় ভোগেন৷

এর আগে মাইগ্রেনের সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকি নিয়ে কথা হলেও বিভিন্ন ধরণের মাইগ্রেনের বিষয়ে আলাদাভাবে দৃষ্টিপাত করা হয়নি কিংবা মাইগ্রেনের সঙ্গে স্ট্রোকের ঠিক কী ধরণের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তা নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়নি৷

ব্রিগহামের বিজ্ঞানী মারকুস শার্কস এবং বোস্টনের উইমেন্স হসপিটালের গবেষকরা এই বিষয়ে গবেষণা করেন এবং অজানা অধ্যায়টিতে আলোকপাতের চেষ্টা করেন৷ তাঁরা অরা মাইগ্রেনের কারণে রক্তসঞ্চালন কমে যাওয়ার সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক খুঁজে বের করেন৷

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের ওই প্রতিবেদনে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষক এলিজাবেথ লোডার পরামর্শ দিয়েছেন, যেসব নারী এ সমস্যায় ভুগছেন তাদের উচিৎ অবিলম্বে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া এবং ইস্ট্রোজেন নেই এমন জন্মনিরোধক পিল খাওয়া৷

অবশ্য তিনি একথা বলেন যে, মাইগ্রেনে ভোগা রোগীদের স্ট্রোকের সাধারণ ঝুঁকির হার মারাত্মক না হওয়ায় অরা মাইগ্রেনে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই৷

প্রতিবেদন: মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুস সাত্তার