1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বস্তিতে গ্রিস

৩০ নভেম্বর ২০১২

গ্রিসের আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে ইউরোপ ও আইএমএফ অবশেষে একটা রফায় এসেছে৷ সেই সমাধানসূত্র প্রয়োগ করে আপাতত পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলছে৷

https://p.dw.com/p/16qds
ছবি: Reuters

তিন-তিনবার চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে মতপার্থক্য কাটিয়ে যে সমাধানসূত্র উঠে এসেছে, তার মূল ভিত্তি হলো এ রকম৷ প্রথমত গ্রিস আগামী কিস্তির আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে৷ আগামী মার্চ পর্যন্ত ৪টি ধাপে প্রায় ৪,৪০০ কোটি ইউরোর এই প্যাকেজ এথেন্সে পাঠানো হবে৷ দ্বিতীয়ত, ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রিসের বাজেটে যাতে নতুন করে কোনো অপ্রত্যাশিত ঋণভার সৃষ্টি না হয়, তার জন্য আলাদা সাহায্যের প্যাকেজ দেওয়া হবে৷ এ ক্ষেত্রে আইএমএফ আপত্তি করেছিল৷ কিন্তু ইউরো এলাকা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যে ২০২২ সাল পর্যন্ত যেভাবেই হোক গ্রিস'এর ঋণভার তারা নির্ধারিত মাত্রার মধ্যে ফিরিয়ে আনবে৷ প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর এই সমাধানসূত্রে আসেন ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরা৷

ইউরোগ্রুপের প্রধান জঁ ক্লোদ ইয়ুঙ্কার বলেছেন, একাধিক পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রিসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ এর মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক সাহায্যের ক্ষেত্রে সুদের হার কমানো, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো, গ্রিস'কে দিয়ে তাদের বন্ড সস্তায় কিনিয়ে নেওয়া, গ্রিসের বন্ডের ক্ষেত্রে ইসিবি'র মুনাফা ছেড়ে দেওয়া ইত্যাদি৷

EU Gipfel in Brüssel
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও সামারাস আশা করছেন, অবশেষে গ্রিসের সুদিন ফিরতে চলেছেছবি: Reuters

গ্রিস সম্পর্কে টালবাহানার ফলে সোমবার বাজার মুখ থুবড়ে পড়েছিল৷ মঙ্গলবার ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে ইউরোপ ও বিশ্বের অনেক প্রান্তের বাজার আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে৷ তবে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়া এখনো বাকি৷ বৃহস্পতিবারই জার্মানি সহ কয়েকটি দেশের সংসদে বিষয়টি নিয়ে ভোটাভুটি হবার কথা৷ ফলে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে৷ তবে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও সামারাস আশা করছেন, অবশেষে গ্রিসের সুদিন ফিরতে চলেছে৷

আসলে গ্রিসের পরিস্থিতি সম্পর্কে আজ যা হিসাব করা হচ্ছে, আগামীকাল তা বদলে যাচ্ছে৷ যেমন সে দেশের অর্থনীতি যে ভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তার ফলে কোষাগারের আয়ও কমতির দিকে৷ তার উপর ইউরো এলাকা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার অর্থ এই মুহূর্তে না হলেও গ্রিসের কিছু ঋণ মকুব করতেই হবে৷ জার্মানিতে আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে তা কোনোমতেই সম্ভব নয়, কারণ বিষয়টি ভোটারদের কাছে অত্যন্ত অপ্রিয়৷ আপাতত জার্মানির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি গ্রিসের প্যাকেজের প্রতি সমর্থন জানাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তবে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কল'এর সরকারের কড়া সমালোচনা বন্ধ করতে প্রস্তুত নয় তারা৷

অন্তত গ্রিস'কে নিয়ে দুশ্চিন্তা কিছুটা কমলেও ডিসেম্বর মাসে ইইউ বাজেট, ফিসকাল ইউনিয়ন সহ অন্যান্য কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়েও তাদের ঐকমত্যের প্রয়োজন হবে৷ সে ক্ষেত্রে বর্তমান বিভাজন কতটা কাটে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন৷

এসবি/জেটএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য