1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ মে ২০১৪

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় দুই সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর রাতে সেনানিবাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আরেক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/1C1SS
Rapid Action Battalion RAB Spezialeinheit Militär Dhaka Bangladesh
প্রতীকী ছবিছবি: Getty Images/AFP

গত ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ ৩০শে এপ্রিল তাঁদের লাশ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে৷ এরপরই নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন র‌্যাব ১১-এর অধিনায়ক কর্ণেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লে. কমান্ডার মাসুদ রানা ৬ কোটি টাকা ঘুস নিয়ে সাতজনকে অপহরণ এবং হত্যা করেছে৷ এরপর র‌্যাব থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর দেয়া হয়৷

এরপর গত ১১ই মে ঐ তিনজন র‌্যাব কর্মকর্তাকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷ তাঁদের বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা না থাকে তাহলে তাঁদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে বলা হয়৷ কিন্তু পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার না করে গ্রেপ্তারের অনুমতির জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়৷ নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মহিদ উদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘সেনা সদর দপ্তর দুই সেনা কর্মকর্তা কর্ণেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছে৷ কিন্তু নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মাসুদ রানার ব্যাপারে নৌ সদর দপ্তর এখনো কিছু জানায়নি৷''

Rapid Action Battalion RAB Spezialeinheit Militär Dhaka Bangladesh
দুই সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তাকে শনিবার ভোর রাতে সেনানিবাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ (ফাইল ফটো)ছবি: Getty Images/AFP

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, শনিবার ভোর রাতে ‘‘গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লে.কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর আরিফ হোসেন। তারেক সাঈদ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়ে জামাই৷ তবে চাকুরিচ্যুত নৌবাহিনী কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এমএম রানাকে গ্রেপ্তার করা যাযনি৷’’

এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শুক্রবার বলেন, ‘‘নারায়নগঞ্জের ঘটনায় আমরা বসে নেই৷ একটু ধীর গতিতে হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ন্যায়সঙ্গতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরাই জড়িত তাঁদের বিচার হবেই৷ তদন্তে যাঁদের নাম আসবে তাঁদের শাস্তি দিতে সরকার কুণ্ঠাবোধ করবে না৷''

অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশের পরে অভিযুক্ত র‌্যাব কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে সরকার টালবাহানা করছে। কারণ এর মধ্যে একজন সরকারের মন্ত্রীর জামাই৷''

ব়্যাব কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আদালত অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়ার পরও ছয় দিন কেটে গেছে এবং এখনও র‌্যাবের ঐ তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, যা অস্বাভাবিক৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে নানা কৌশল অবলম্বন করে দেরি করার ফল ভালো হবে না৷ এতে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে৷''

তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়ার পর তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে আর কারুর অনুমতির প্রয়োজন নেই৷ যাঁরা এটা করছেন তাঁরা আইনের লঙ্ঘন করছেন৷'' – এমনই মন্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের এই শিক্ষকের৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য