1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপহরণ ঠেকাতে পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ মে ২০১৪

ঢাকা মহানগর পুলিশ এবার ‘অ্যান্টি-কিডন্যাপিং স্কোয়াড’ গঠন করেছে৷ অপহরণ ও গুমের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এই বিশেষায়িত দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম৷

https://p.dw.com/p/1BtIs
স্কোয়াডের সঙ্গে ফোনে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে (ফাইল ছবি)ছবি: picture-alliance/dpa

এই স্কোয়াডের সঙ্গে ফোনে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে বলে জানান তিনি৷ মনিরুল ইসলাম বলেন, অপহরণ রোধ, অপহরণে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে এই স্কোয়াড কাজ করবে৷ এছাড়া জামিনে ছাড়া পাওয়া আসামিদেরও নজরদারিতে রাখবে স্কোয়াড৷ স্কোয়াডের সদস্য সংখ্যা ৪০৷ এর প্রধান পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপকমিশনার৷

তিনি জানান, স্কোয়াড এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে৷ অপহরণকারীদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে এই স্কোয়াডকে জানানো যাবে৷ তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম৷ স্কোয়াডের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালু করা হয়েছে৷ চারটি নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে৷ এগুলো হলো: ০১৭১৩-৩৯৮৩২৭, ০১৭১৩-৩৯৮৬১৯, ০১৭১৩-৩৭৩২১৪, ০১৭১৩-৩৭৩২১৬৷

যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, দেশে এধনের স্কোয়াড এই প্রথম৷ পুলিশের নিয়মিত অপহরণ বিরোধী তৎপরতাকে আরো বেগবান করতেই এই স্কোয়াড৷ তাঁরা একটি ডেটাবেজও গড়ে তুলবেন৷ আর তাতে থাকবে অপহরণ, অপহরণকারী এবং উদ্ধার সংক্রান্ত সব ধরণের তথ্য৷

Bangladesch - Landesweiter Streik
স্কোয়াড এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে (ফাইল ছবি)ছবি: Getty Images

১০ জন আটক

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণ মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনের বাড়ি থেকে শনিবার ১০ জনকে আটক ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করেছে পুলিশ৷ অভিযানের সময় নূর হোসেন বাড়িতে ছিলেন না৷ জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মুহিদ উদ্দিন বলেছেন, মূল আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর আছে৷ তাঁদের ধারণা নূর হোসেন এখনো দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেনি৷ তিনি জানান, ‘‘মাইক্রোবাসটি অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহায়তা নেয়া হচ্ছে৷ ঐ বাড়িতে একটি গোপন বৈঠকের খবর পেয়েই অভিযান চালানো হয়৷'' আটককৃতদের মধ্যে একজন নিহত আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের মুঠোফোন ব্যবহার করেছেন বলে জানান তিনি৷

পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জে একের পর এক অপহরণ ঘটলেও নারায়ণগঞ্জবাসীকে স্বস্তি দেওয়া হবে৷ অপরাধীরা সবাই ধরা পড়বে৷ আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীকে স্বস্তি দিতে চাই৷''

Bangladesch Unruhen in Dhaka
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

অন্যদিকে, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে অপহরণ এবং উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে৷ পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে অপহরণকারীরা সাইফুল ইসলামকে শুক্রবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ফেলে রেখে যায়৷ আর শনিবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে আরো একটি লাশ পাওয়া গেছে৷

রবিবার হরতাল

৭ জনকে অপহরণ এবং হত্যার প্রতিবাদে রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নগরীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে৷ নিহতদের মধ্যে চন্দন কুমার সরকার নামে একজন আইনজীবীও রয়েছেন৷ বিএনপি এবং জামায়াত এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে৷ শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিবাদ সমাবেশে সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘আমরা আইনজীবী৷ আমাদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই৷ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল করব৷ দেশ থেকে সব ধরনের গুম, অপহরণ বন্ধ হোক৷''

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই সারাদেশে ৫৪ জনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য