1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অন্ধ মুরগিরা বেশি ডিম পাড়ে

২ নভেম্বর ২০১০

যেসব হাঁস-মুরগিরা চোখে দেখতে পায়না তারা নাকি বেশি ডিম পাড়ে৷ বিজ্ঞানীরা কিন্তু এমন কথাই বলছেন৷ হাঁস-মুরগির খামার করছেন কিংবা খামার করার কথা ভাবছেন?

https://p.dw.com/p/Pvxp
অন্ধ মুরগি ডিম পাড়ে বেশি (ফাইল ফটো)ছবি: AP

তাহলে আপনার খামারের কোনো মুরগি যদি অন্ধ হয়, সেই বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে না দেখে ইতিবাচকভাবেই দেখুন৷ কেননা গবেষকদের কথায়, প্রাকৃতিকভাবে দৃষ্টিশক্তিহীন মুরগিরা অন্য মুরগিরা, অর্থাৎ যারা চোখে দেখতে পায়, তাদের চেয়ে বেশি ডিম পাড়ে৷

ভারতের ব্যাঙ্গালোরের প্রাণীপুষ্টি ও জীবনধারা বিষয়ক সংস্থা ‘এনআইএনপি' এই গবেষণাটি চালিয়েছে৷ তাঁরা দেখেছেন, স্মোকি জোয়েস নামের বংশানুক্রমিকভাবে অন্ধ, সাদা লেগোন মুরগিরা সাধারণ মুরগিদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি ডিম পাড়ে৷ আর সেটা হয়, অন্যান্য মুগরির থেকে অনেক কম বয়সে৷ শোনা যায়, ২০০৮ সালে এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা শেষ করেন তাঁরা৷ কিন্তু আলো কিভাবে ডিম পাড়াকে প্রভাবিত করে, তা বোঝার জন্য মাস কয়েক আগে আবারো গবেষণা শুরু করতে হয় তাঁদের৷ আর তারই ফলাফল বেরিয়ে আসে এবছরের জুলাই মাসে৷

‘এনআইএনপি'র তিনজন গবেষক আই জে রেড্ডি, জি রবি কিরণ এবং এস মন্ডল এই গবেষণাটি চালান৷ ঐ গবেষণায় বলা হয়, আলো কিভাবে ডিম পাড়ার ক্ষেত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসে৷

গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণত হাঁস-মুরগির খামারে যে ধরণের সাদা বাতি বা আলো ব্যবহার করা হয়, বাড়িতে পালন করা মুরগিদের একই ধরণের আলোর নীচে রেখে দেখা গেছে, এরা ৫২ সপ্তাহে প্রায় ৩০০টি ডিম পাড়ে৷ কিন্তু একইসময়ে এইসব মুরগিদেরই যদি লাল আলোকরশ্মি ও নীল আলোকরশ্মি দেওয়া হয়, তাহলে এরা ৫ শতাংশ এবং ৩ শতাংশ হারে বেশি ডিম পাড়ে৷

প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া এই বিষয়গুলো প্রমাণ করার জন্য বিজ্ঞানীরা এরইমধ্যে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন৷ এক বছরের মধ্যেই এটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তারপর গবেষনার ফলাফল ‘এনআইএনপি'র মাধ্যমে পাঠানো হবে কৃষি মন্ত্রণালয়ে৷ আর এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল খামারিদের সাহায্য করবে বলে আশা করছেন গবেষকরা৷ তাঁরা বলছেন, আলোকরশ্মির বিষয়টি ব্যবহার করে খামারের মুরগিগুলোর কাছ থেকে আরও বেশি ডিম পাওয়া যেতে হতে পারে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য