1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেসরকারি ব্যাংক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ নভেম্বর ২০১২

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়া সাতটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কোনটিই নির্ধারিত সময়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি৷ তারা আরো সময় চেয়েছে৷ তারা শুরুতেই অর্থ ও লোকবল জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/16gu4
ছবি: DW

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে জানান, এই ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়৷ নতুন ব্যাংকের প্রয়োজন আছে কিনা তা বিবেচনা করে দেখা হয়নি৷

গত এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭টি নতুন বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়৷ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও তারা পারেনি৷ তারা আরো ৩ মাস সময় বাড়িয়ে নিয়েছে৷ কিন্তু এই সময় তারা বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে জানান, প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স দেয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ তাঁর মতে, নতুন কোন ব্যাংকের প্রয়োজনই ছিল না৷

তিনি বলেন, লোকবল এবং পুঁজি সংগ্রহ করতে নতুন ব্যাংকগুলোর সময় লাগছে৷ রাতারাতি তারা এসব জোগাড় করতে পারবে না৷

নতুন অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলো হল ইউনিয়ন ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, দ্য ফার্মার্স ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক এবং এনআরবি ব্যাংক৷ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এতে ব্যাংকিং খাতে এক ধরণের অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে৷ তাতে পুরনো ব্যাংকগুলোও যেমন সমস্যায় পড়তে পারে৷ তেমনি নতুন ব্যাংকগুলোকেও নানা সংকটের মুখোমুখি হতে হবে৷ তাই নতুন ব্যাংগুলোকে টিকে থাকতে হলে গ্রামে এবং বিশেষ সেক্টরে কাজ করতে হবে৷

বাংলাদেশে এখন মোট বাণিজ্যিক ব্যাংক ৪৭টি৷ নতুন ৭টি কাজ শুরু করলে এর সংখ্যা দাড়াবে ৫৪টিতে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য