1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অজ্ঞান হওয়ার মুহূর্তে মস্তিষ্কের ছবি তুলে অবাক বিজ্ঞানীরা

১৪ জুন ২০১১

মানুষের মস্তিষ্ক৷ যার কার্যকলাপ আর যার রহস্যময় ব্যাপারস্যাপার নিয়ে বিজ্ঞানীদের বিস্ময়ের অন্ত নেই৷ এই প্রথম মানব মস্তিষ্কের অজ্ঞান হতে শুরু করার ছবি তুলতে পেরে তাঁরা নিজেরাই বিস্মিত৷

https://p.dw.com/p/11Zhn
মানুষের মস্তিষ্কের রহস্য এখনও অনেকটাই অজানাছবি: AP

কে জানত মানুষ অজ্ঞান হওয়ার সময় তার মস্তিষ্ক এত বিচিত্র আচরণ করে? এই প্রথম একজন মানুষকে ওষুধ প্রয়োগ করে অজ্ঞান করার সময় তার মস্তিষ্কের ছবি তুলে দারুণ সব ব্যাপার প্রত্যক্ষ করতে পারলেন বিজ্ঞানীরা৷ জানা গেল অনেক নতুন তথ্যও৷

কী সেই তথ্য? এ প্রশ্নের জবাবে প্রথমে জানানো যাক, কোথায় শোনা গেল এই অদৃষ্টপূর্ব ঘটনা৷ অ্যামস্টারডামের নামজাদা ইউরোপীয় অ্যানাস্থেসিওলজি কংগ্রেসে ম্যান্চেস্টারের রয়্যাল ইনফার্মারির প্রোফেসর ব্রায়ান পোলার্ড তাঁর বক্তৃতায় জানিয়েছেন গবেষণার সেই বিরলতম অভিজ্ঞতার কথা৷

প্রোফেসর পোলার্ড বলেছেন, আনাস্থেসিয়া বা অজ্ঞান করার ওষুধ রোগীর শরীরে প্রবেশ করানোর পরপরই তাঁরা মস্তিষ্কের স্ক্যান শুরু করে দিয়েছিলেন৷ দেখা যায়, মানুষটি অজ্ঞান হতে শুরু করামাত্রই তার মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ নিউরন বা রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে দিল৷ ব্যাপার দেখে, প্রোফেসর পোলার্ড বলছেন, আমাদের সকলেরই চোয়াল ঝুলে গিয়েছিল৷ মানে যাকে বলা যেতে পারে বিস্ময়ে হাঁ হয়ে যাওয়া৷

বর্তমানে মস্তিষ্কের স্ক্যান করা বা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ছবি তোলার যে পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে, তাতে অনেক তথ্য জানা গেলেও মানুষ অজ্ঞান হওয়ার সময় সেই একই মস্তিষ্ক কী ভাবে কাজ করে, বা আদৌ করে কিনা, সে বিষয়ে তেমন কোন তথ্য জানতেন না বিজ্ঞানীরা৷ এই প্রথম বোঝা গেল, মানুষ যখন অজ্ঞান হতে থাকে, মস্তিষ্ক কিন্তু তখনও সচল থাকে৷ তার বেশ কিছু অংশ প্রয়োজনীয় কাজ করে যায়৷ চেষ্টা করে যেতে থাকে শরীরবৃত্তীয় কিছু কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার৷

নতুন এই জ্ঞান হার্ট অ্যাটাক বা সেরিব্র্যাল জাতীয় অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ কাজে দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷ গবেষণা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আরও অনেক তথ্যই জানা যাবে৷ জানা দরকারও৷ কারণ, মানুষের শরীরের এই একটি জিনিসের বিষয়ে এখনও অনেক রহস্যের কুয়াশা রয়ে গেছে৷ আর বিজ্ঞান সবসময়েই চায় সেই কুয়াশা ভেদ করতে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম